ফাল্গুনে বিকশিত
কাঞ্চন ফুল,
ডালে ডালে
পুঞ্জিত
আম্রমুকুল।
চঞ্চল মৌমাছি
গুঞ্জরি গায়,
বেণুবনে মর্মরে
দক্ষিণবায়।
স্পন্দিত নদীজল
ঝিলিমিলি
করে,
জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি
বালুকার
চরে।
নৌকা ডাঙায়
বাঁধা,
কাণ্ডারী
জাগে,
পূর্ণিমারাত্রির
মত্ততা
লাগে।
খেয়াঘাটে ওঠে
গান
অশ্বত্থতলে,
পান্থ বাজায়ে
বাঁশি
আনমনে
চলে ।
ধায় সে
বংশীরব
বহুদূর গাঁয়,
জনহীন প্রান্তর
পার হয়ে
যায় ।
দূরে কোন্
শয্যায়
একা
কোন্ ছেলে
বংশীর ধ্বনি
শুনে
ভাবে চোখ মেলে —
যেন
কোন্ যাত্রী সে,
রাত্রি অগাধ,
জ্যোৎস্নাসমুদ্রের
তরী যেন চাঁদ।
চলে যায় চাঁদে চ ' ড়ে
সারা রাত ধরি,
মেঘেদের ঘাটে ঘাটে
ছুঁয়ে যায় তরী।
রাত কাটে, ভোর হয়,
পাখি জাগে বনে —
চাঁদের তরণী ঠেকে
ধরণীর কোণে।