প্রথম ।
|
|
সকলে ।
|
আস্ত একটি
গাধা
তুমি
স্পষ্ট
গেল
দেখা,
হাস্ছ যত, কান্না তত কপালেতে লেখা । |
দ্বিতীয় ।
|
'যদি' বলে
ডাকে
আমায়
নামটি
আমার
'যদি'-
আশায় আশায় বসে থাকি হেলান দিয়ে গদি । সব কাজেতে থাকত যদি খেলার মত মজা, লেখাপড়া হত যদি জলের মত সোজা- স্যান্ডো সমান ষণ্ডা হতাম যদি গায়ের জোরে, প্রশংসাতে আকাশ পাতাল যদি যেত ভরে- উঠে পড়ে লেগে যেতাম বাজে তর্ক ফেলে । করতে পারি সবি- যদি সহজ উপায় মেলে । |
সকলে ।
|
হাতের কাছে
সুযোগ,
তবু
'যদি'র
আশায়
বসে
নিজের মাথা খাচ্ছ বাপু নিজের বুদ্ধি দোষে । |
তৃতীয় ।
|
আমার নাম
'বটে'
! আমি
সদাই
আছি
চটে-
কট্মটিয়ে তাকাই যখন, সবাই পালায় ছুটে । চশমা পরে বিচার ক'রে, চিরে দেখাই চুল- উঠ্তে বস্তে কচ্ছে সবাই হাজার গণ্ডা ভুল । আমার চোখে ধুলো দেবে সাধ্যি আছে কার ? ধমক শুনে ভূতের বাবা হচ্ছে পগার পার ! হাস্ছ ? বটে ! ভাবছ বুঝি মস্ত তুমি লোক, একটি আমার ভেংচি খেলে উল্টে যাবে চোখ । |
সকলে ।
|
দিচ্ছ গালি,
লোকের
তাতে
কিবা
এল
গেল
?
আকাশেতে থুতু ছুঁড়ে- নিজের গায়েই ফেল । |
চতুর্থ ।
|
আমার নাম
'কিন্তু',
আমায়
'কিন্তু'
বলে
ডাকে,
সকল কাজে একটা কিছু গলদ লেগে থাকে । দশটা কাজে লাগি কিন্তু আটটা করি মাটি, ষোল আনা কথায় কিন্তু সিকি মাত্র খাঁটি । লম্ফ ঝম্ফ বহুৎ কিন্তু কাজের নাইকো ছিরি- ফোঁস্ ক'রে যাই তেড়ে- আবার ল্যাজ গুটিয়ে ফিরি । পাঁচটা জিনিস গড়্তে গেলে, দশটা ভেঙে চুর- বল্ দেখি ভাই কেমন আমি সাবাস বাহাদূর ! |
সকলে ।
|
উচিত তোমায়
বেঁধে
রাখা
নাকে
দিয়ে
দড়ি,
বেগারখাটা পণ্ডকাজের মূল্য কানাকড়ি । |
পঞ্চম ।
|
|
সকলে ।
|
নিষ্কম্মারা গেল
কোথা,
পালাল
কোন
দেশে
?
কাজের মানুষ কারে বলে দেখুন এখন এসে । হেসে খেলে, শুয়ে বসে কত সময় যায়, সময়টা যে কাজে লাগায়, চালাক বলে তায় । |