Showing posts with label উৎসাহব্যঞ্জক কবিতা. Show all posts
Showing posts with label উৎসাহব্যঞ্জক কবিতা. Show all posts
নবীর শিক্ষা ~ শেখ হাবিবুর রহমান
'তিন দিন হ'তে খাইতে না পাই, নাই কিছু মোরে ঘরে,
দারা পরিবার বাড়িতে আমার উপোস করিয়া মরে।
নাহি পাই কাজ তাই ত্যাজি লাজ বেড়াই ভিক্ষা করি,
হে দয়াল নবী, দাও কিছু মোরে নহিলে পরাণে মরি।'
আরবের নবী, করুণার ছবি ভিখারির পানে চাহি
কোমল কণ্ঠে কহিল, 'তোমার ঘরে কি কিছুই নাহি?'
বলিল সে, 'আছে শুধু মোর কাছে কম্বল একখানি।'
কহিল রসুল, 'এক্ষুণি গিয়া দাও তাহা মোরে আনি।'
সম্বল তার কম্বলখানি বেচিয়া তাহার করে
অর্ধেক দাম দিলেন রসুল খাদ্য কেনার তরে,
বাকি টাকা দিয়া কিনিয়া কুঠার হাতল লাগায়ে নিজে
কহিলেন, 'যাও কাঠ কেটে খাও, দেখ খোদা করে কি-যে।'
সেদিন হইতে শ্রম সাধনায় ঢালিল ভিখারি প্রাণ,
বনের কাষ্ঠ বাজারে বেচিয়া দিন করে গুজরান।
অভাব তাহার রহিল না আর, হইল সে সুখী ভবে,
নবীর শিক্ষা— ক'রো না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আজি এ প্রভাতে প্রভাতবিহগ
কী গান গাইল রে!
অতিদূর দূর আকাশ হইতে
ভাসিয়া আইল রে!
না জানি কেমনে পশিল হেথায়
পথহারা তার একটি তান,
আঁধার গুহায় ভ্রমিয়া ভ্রমিয়া
গভীর গুহায় নামিয়া নামিয়া
আকুল হইয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া
ছুঁয়েছে আমার প্রাণ।
নব নবীনের লাগি - জীবনানন্দ দাশ
-নব নবীনের লাগি
প্রদীপ ধরিয়া আঁধারের বুকে আমার রয়েছি জাগি!
ব্যর্থ পঙ্গু খর্ব প্রাণের বিকল শাসন ভেঙে,
নব আকাঙক্ষা আশার স্বপনে হৃদয় মোদের রেঙে,
দেবতার দ্বারে নবীন বিধান-নতুন ভিক্ষা মেগে
দাঁড়ায়েছি মোরা তরুণ প্রাণের অরুণের অনুরাগী!
ঝড়ের বাতাস চাই।
-চারিদিক ঘিরে শীতের কুহেলি, -শ্মশানপথের ছাই,
ছড়ায়ে রয়েছে পাহাড় প্রমাণ মৃতের অস্থি খুলি,
কে সাজাবে ঘর দেউলের’পর কঙ্কাল তুলি তুলি?
সূর্য চন্দ্র নিভায়ে কে নেবে জরার চোখের ঠুলি!
-মরার ধরায় জ্যান্ত কখনও মাগিতে যাবে কি ঠাঁই!
প্রদীপ ধরিয়া আঁধারের বুকে আমার রয়েছি জাগি!
ব্যর্থ পঙ্গু খর্ব প্রাণের বিকল শাসন ভেঙে,
নব আকাঙক্ষা আশার স্বপনে হৃদয় মোদের রেঙে,
দেবতার দ্বারে নবীন বিধান-নতুন ভিক্ষা মেগে
দাঁড়ায়েছি মোরা তরুণ প্রাণের অরুণের অনুরাগী!
ঝড়ের বাতাস চাই।
-চারিদিক ঘিরে শীতের কুহেলি, -শ্মশানপথের ছাই,
ছড়ায়ে রয়েছে পাহাড় প্রমাণ মৃতের অস্থি খুলি,
কে সাজাবে ঘর দেউলের’পর কঙ্কাল তুলি তুলি?
সূর্য চন্দ্র নিভায়ে কে নেবে জরার চোখের ঠুলি!
-মরার ধরায় জ্যান্ত কখনও মাগিতে যাবে কি ঠাঁই!
আগমনী | কাজী নজরুল ইসলাম
একি রণ-বাজা বাজে ঘন ঘন–
ঝন রনরন রন ঝনঝন!
সেকি দমকি দমকি
ধমকি ধমকি
দামা-দ্রিমি-দ্রিমি গমকি গমকি
ওঠে চোটে চোটে,
ছোটে লোটে ফোটে
বহ্নি-ফিনিকি চমকি চমকি
ঢাল-তলোয়ারে খনখন!
একি রণ-বাজা বাজে ঘন ঘন
রণ ঝনঝন ঝন রণরণ!
ঝন রনরন রন ঝনঝন!
সেকি দমকি দমকি
ধমকি ধমকি
দামা-দ্রিমি-দ্রিমি গমকি গমকি
ওঠে চোটে চোটে,
ছোটে লোটে ফোটে
বহ্নি-ফিনিকি চমকি চমকি
ঢাল-তলোয়ারে খনখন!
একি রণ-বাজা বাজে ঘন ঘন
রণ ঝনঝন ঝন রণরণ!
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায় | কাজী নজরুল ইসলাম
যায় মহাকাল মূর্ছা যায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়।
যায় অতীত
কৃষ্ণ-কায়
যায় অতীত
রক্ত-পায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়!
যায় প্রবীণ
চৈতী-বায়,
আয় নবীন
শক্তি আয়।
যায় অতীত
যায় পতীত্,
‘আয় অতিথ,
‘আয় রে আয়’
বৈশাখী-ঝড় সুর হাঁকায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়।
যায় অতীত
কৃষ্ণ-কায়
যায় অতীত
রক্ত-পায়
যায় মহাকাল মূর্ছা যায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়!
যায় প্রবীণ
চৈতী-বায়,
আয় নবীন
শক্তি আয়।
যায় অতীত
যায় পতীত্,
‘আয় অতিথ,
‘আয় রে আয়’
বৈশাখী-ঝড় সুর হাঁকায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়
প্রবর্তকের ঘুর্-চাকায়
রণ-ভেরী | কাজী নজরুল ইসলাম
[গ্রীসের বিরুদ্ধে
আঙ্গোরা-তুর্ক-গভর্ণমেন্ট যে
যুদ্ধ চালাইতেছিলেন, সেই
যুদ্ধে কামাল পাশার
সাহায্যের জন্য
ভারতবর্ষ হইতে
দশ হাজার স্বেচ্ছা-সৈনিক প্রেরণের প্রস্তাব
শুনিয়া লিখিত। ]
ওরে আয়!
ঐ মহা-সিন্ধুর পার হতে ঘন রণ-ভেরী শোনা যায়-
ওরে আয়!
ঐ ইস্লাম ডুবে যায়!
যত শয়তান
সারা ময়দান
জুড়ি খুন তার পিয়ে হুঙ্কার দিয়ে জয়-গান শোন্ গায়!
আজ শখ করে জুতি-টক্করে
তোড়ে শহীদের খুলি দুশ্মন পায় পায়-
ওরে আয়!
ওরে আয়!
ঐ মহা-সিন্ধুর পার হতে ঘন রণ-ভেরী শোনা যায়-
ওরে আয়!
ঐ ইস্লাম ডুবে যায়!
যত শয়তান
সারা ময়দান
জুড়ি খুন তার পিয়ে হুঙ্কার দিয়ে জয়-গান শোন্ গায়!
আজ শখ করে জুতি-টক্করে
তোড়ে শহীদের খুলি দুশ্মন পায় পায়-
ওরে আয়!
ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক’রে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক’রে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
Subscribe to:
Posts (Atom)