সরোদ বাজাতে জানলে ~ পূর্ণেন্দু পত্রী
গাধার কান ~ রোকনুজ্জামান খান
একটা দড়ির দু'দিক থেকে টানছে দু'দল ছেলে
তাই না দেখে বনের বানর লাফায় খেলা ফেলে।
সকল বানর ফন্দি আঁটে জবর মজার খেলা
এমন খেলা খেলেই সবাই কাটিয়ে দেব বেলা।
কিন্তু দড়ি মিলবে কোথায়? ঘাবড়ে গেল মাথা
পালের সেরা বানর বলে মগজ তোদের যা-তা।
নেইকো দড়ি বয়েই গেল ভাবিস মিছে হাবা
লেজে লেজে ধরব টেনে হবে দড়ির বাবা।
যেই না বলা দু'দল বানর দু'দিক থেকে বসে
একের লেজটি ধরল টেনে জোরসে চেপে কষে।
বনের গাধা দাঁড়ায় মাঝে উঁচিয়ে দু'টি কান
বলে, আমার দু'দিক থেকে কান ধরে দে টান
কান ধরে এই মাথা নিবি আপন দলে টেনে
জিতবি তবে এই খেলাতে, রাখিস সবাই জেনে।
অমনি দু'দল হেঁইয়ো টানে- গাধার বিপদ ভারি
কান ছিঁড়ে সব হুমড়ি খেয়ে পড়ল সারি সারি
সাঙ্গ হল দড়ির খেলা বানররা সব হাসে
কান হারিয়ে গাধা শুধুই চোখের জলে ভাসে।
নবীর শিক্ষা ~ শেখ হাবিবুর রহমান
'তিন দিন হ'তে খাইতে না পাই, নাই কিছু মোরে ঘরে,
দারা পরিবার বাড়িতে আমার উপোস করিয়া মরে।
নাহি পাই কাজ তাই ত্যাজি লাজ বেড়াই ভিক্ষা করি,
হে দয়াল নবী, দাও কিছু মোরে নহিলে পরাণে মরি।'
আরবের নবী, করুণার ছবি ভিখারির পানে চাহি
কোমল কণ্ঠে কহিল, 'তোমার ঘরে কি কিছুই নাহি?'
বলিল সে, 'আছে শুধু মোর কাছে কম্বল একখানি।'
কহিল রসুল, 'এক্ষুণি গিয়া দাও তাহা মোরে আনি।'
সম্বল তার কম্বলখানি বেচিয়া তাহার করে
অর্ধেক দাম দিলেন রসুল খাদ্য কেনার তরে,
বাকি টাকা দিয়া কিনিয়া কুঠার হাতল লাগায়ে নিজে
কহিলেন, 'যাও কাঠ কেটে খাও, দেখ খোদা করে কি-যে।'
সেদিন হইতে শ্রম সাধনায় ঢালিল ভিখারি প্রাণ,
বনের কাষ্ঠ বাজারে বেচিয়া দিন করে গুজরান।
অভাব তাহার রহিল না আর, হইল সে সুখী ভবে,
নবীর শিক্ষা— ক'রো না ভিক্ষা, মেহনত কর সবে।
এক কোটি বছর তোমাকে দেখি না ~ মহাদেব সাহা
এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না
একবার তোমাকে দেখতে পাবো
এই নিশ্চয়তাটুকু পেলে-
বিদ্যাসাগরের মতো আমিও সাঁতরে পার
হবো ভরা দামোদর
…কয়েক হাজার বার পাড়ি দেবো ইংলিশ চ্যানেল;
তোমাকে একটিবার দেখতে পাবো এটুকু ভরসা পেলে
অনায়াসে ডিঙাবো এই কারার প্রাচীর,
ছুটে যবো নাগরাজ্যে পাতালপুরীতে
কিংবা বোমারু বিমান ওড়া
শঙ্কিত শহরে।
যদি জানি একবার দেখা পাবো তাহলে উত্তপ্ত মরুভূমি
অনায়াসে হেঁটে পাড়ি দেবো,
কাঁটাতার ডিঙাবো সহজে, লোকলজ্জা ঝেড়ে মুছে
ফেলে যাবো যে কোনো সভায়
কিংবা পার্কে ও মেলায়;
একবার দেখা পাবো শুধু এই আশ্বাস পেলে
এক পৃথিবীর এটুকু দূরত্ব
আমি অবলীলাক্রমে পাড়ি দেবো।
তোমাকে দেখেছি কবে, সেই কবে, কোন বৃহস্পতিবার
আর এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না।
সোনার মেডেল - পূর্ণেন্দু পত্রী
পরানের গহীন ভিতর-১৩ - সৈয়দ শামসুল হক
তোমার বিয়ার দিন মনে হইল, সত্য নিও মনে,
পরানের গহীন ভিতর- ১৭ - সৈয়দ শামসুল হক
এমন অদ্ভূতভাবে কথা কয়া ওঠে কে, আন্ধারে?-
পরানের গহীন ভিতর- ১৬ - সৈয়দ শামসুল হক
যমুনার পরে আসলে তার কথা খালি মনে হয়,
পরানের গহীন ভিতর- ২৩ - সৈয়দ শামসুল হক
আমারে যেদিন তুমি ডাক দিলা তোমার ভাষায়
পরানের গহীন ভিতর- ২৭ - সৈয়দ শামসুল হক
পরানের গহীন ভিতর- ৩০ - সৈয়দ শামসুল হক
পরানের গহীন ভিতর- ৩১ - সৈয়দ শামসুল হক
কে করে পরশ তার জীবনের এত জটিলতা?