Showing posts with label আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা. Show all posts
Showing posts with label আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা. Show all posts
সোনার মেডেল - পূর্ণেন্দু পত্রী
বাবুমশাইরা
গাঁগেরাম
থেকে ধুলোমাটি ঘসটে ঘসটে
আপনাদের
কাছে এয়েচি।
কি চাকচিকন
শহর বানিয়েছেন গো বাবুরা
রোদ পড়লে
জোছনা লাগলে মনে হয়
কাল-কেউটের
গা থেকে খসেপড়া
রুপোর
তৈরি একখান্ লম্বা খোলস।
মনের
উনোনে ভাতের হাঁড়ি হাঁ হয়ে আছে খিদেয়
চালডাল
তরিতরকারি শাকপাতা কিছু নেই
কিন্তু
জল ফুটছে টগবগিয়ে।
বাবুমশাইরা,
লোকে
বলেছিল, ভালুকের নাচ দেখালে
আপনারা
নাকি পয়সা দেন!
যখন যেমন
বললেন, নেচে নেচে হদ্দ।
পয়সা
দিবেন নি?
লোকে
বলেছিল ভানুমতীর খেল দেখালে
আপনারা
নাকি সোনার ম্যাডেল দেন।
নিজের
করাতে নিজেকে দুখান করে
আবার
জুড়ে দেখালুম,
আকাশ
থেকে সোনালি পাখির ডিম পেড়ে
আপনাদের
ভেজে খাওয়ালুম গরম ওমলেট,
বাঁজা
গাছে বাজিয়ে দিলুম ফুলের ঘুঙুর।
সোনার
ম্যাডেল দিবেন নি?
বাবুমশাইরা
সেই ল্যাংটোবেলা
থেকে বড় শখ
ঘরে ফিরবো
বুকে সোনার ম্যাডেল টাঙিয়ে
আর বৌ-বাচ্চাদের
মুখে
ফাটা
কাপাসতুলোর হাসি ফুটিয়ে বলবো
দেখিস্!
আমি মারা গেলে
আমার
গা থেকে গজাবে
চন্দন-গন্ধের
বন।
সোনার
ম্যাডেল দিবেন নি?
তেজ - দেবব্রত সিংহ
‘মু জামবনির কুঁইরি পাড়ার শিবু কুঁইরির বিটি সাঁঝলি বটে।’
কাগজওয়ালারা বইললেক,
“উঁ অতটুকু বইললে হবেক কেনে?
তুমি এবারকার মাধ্যমিকে পত্থম হইছ।
তোমাকে বইলতে হবেক আরো কিছু।”
“উঁ অতটুকু বইললে হবেক কেনে?
তুমি এবারকার মাধ্যমিকে পত্থম হইছ।
তোমাকে বইলতে হবেক আরো কিছু।”
পরানের গহীন ভিতর-৩২ - সৈয়দ শামসুল হক
নিঝুম জঙ্গল দিয়া যাইতেই ধনেশের ডাক।
যেমন আতখা ভাঙ্গে কাঠুরার বুকের কাছাড়
চক্ষের পলকে তুমি দেখা দিয়া করো মেছমার;
রতির আগুনে সব দাউদাউ, পরিণামে খাক
পরানের গহীন ভিতর-২৫ - সৈয়দ শামসুল হক
কত না দুধের ক্ষীর খায়া গ্যাছে কালের গোপাল,
কতবার কত রোয়া কারবালা খ্যাতের খরায়,
কন না রঙিলা নাও নিয়া গ্যাছে কাল যমুনায়,
অঘোরে হারায়া গাভি ফেরে নাই নিজস্ব রাখাল।
পরানের গহীন ভিতর-২৪ - সৈয়দ শামসুল হক
আবার তোমার কোলে ফিরা যায় তোমার সন্তান,
আবার তোমার কোলে, খালি কোল, উথলায়া পড়ে
দুধের ঘেরানে ভরা, জননী গো, পুন্নিমার চান-
আবার সে ঘরে ফিরা আইসাছে সারাদিন পরে।
পরানের গহীন ভিতর-২০ - সৈয়দ শামসুল হক
কি কামে দুফর বেলা পাতাগুলা উড়ায় বাতাস?
আবার সে কার স্বর মাঠাপাড়ে ফোঁপায় এমন?
কি কামে আমার চক্ষে পড়ে খালি মানুষের লাশ?
যা দ্যাখার দেইখাছি, বাকি আছে আর কি দ্যাখন?
পরানের গহীন ভিতর-১৯ - সৈয়দ শামসুল হক
পথের উপরে এক বাজপড়া তালগাছ খাড়া,
পিছের জঙ্গল থিকা কুড়ালের শব্দ শোনা যায়,
যমুনার জলে দ্যাখে নাও তার নিজের চেহারা,
বাতাসের কোলে মাথা কুশালের ফসল ঘুমায়,
পরানের গহীন ভিতর-১৫ - সৈয়দ শামসুল হক
আমারে সোন্দর তুমি কও নাই কোনো একদিন,
আমার হাতের পিঠা কও নাই কি রকম মিঠা,
চোখ-কানা দেখ নাই বিছানায় আছে লাল-ছিটা?
পরানের গহীন ভিতর-১৩ - সৈয়দ শামসুল হক
তোমার বিয়ার দিন মনে হইল, সত্য নিও মনে,
এত বড় এত গোল কোনোদিন দেখি নাই চান।
তুলার মতন ফুল, রাণী য্যান দরবারে বসা,
পরানের গহীন ভিতর- ১৭ - সৈয়দ শামসুল হক
এমন অদ্ভূতভাবে কথা কয়া ওঠে কে, আন্ধারে?-
য্যান এক উত্তরের ধলাহাঁস দক্ষিনের টানে
যাইতে যাইতে শ্যাষে শুকনা এক নদীর কিনারে
ডাক দিয়া ওঠে, ‘আগো, চেনা কেউ আছো কোনোখানে?’
পরানের গহীন ভিতর- ১৬ - সৈয়দ শামসুল হক
যমুনার পরে আসলে তার কথা খালি মনে হয়,
এমন পরান পড়ে- সব কিছু বিকাল-বিকাল,
লোকের চোহারা দেখি, হাত নাড়ে, নাড়ে তারা পাও,
কথা কয়, তাও বোঝা যায় না যে কি কয় কি কয়।
পরানের গহীন ভিতর- ২৩ - সৈয়দ শামসুল হক
আমারে যেদিন তুমি ডাক দিলা তোমার ভাষায়
মনে হইল এ কোন পাখির দ্যাশে গিয়া পড়লাম,
এ কোন নদীর বুকে এতগুলা নায়ের বাদাম,
এত যে অচিন বৃক্ষ এতদিন আছিল কোথায়?
Subscribe to:
Posts (Atom)