– যে কোন একটা ফুলের নাম বল
– দুঃখ ।
– যে
কোন
একটা
নদীর
নাম
বল
– বেদনা
।
– যে
কোন
একটা
গাছের
নাম
বল
– দীর্ঘশ্বাস
।
– যে
কোন
একটা
নক্ষত্রের
নাম
বল
– অশ্রু
।
– এবার
আমি
তোমার
ভবিষ্যত
বলে
দিতে
পারি
।
– বলো
।
– খুব
সুখী
হবে
জীবনে
।
শ্বেত
পাথরে
পা
।
সোনার
পালঙ্কে
গা
।
এগুতে
সাতমহল
পিছোতে
সাতমহল
।
ঝর্ণার
জলে
স্নান
ফোয়ারার
জলে
কুলকুচি
।
তুমি
বলবে,
সাজবো
।
বাগানে
মালিণীরা
গাঁথবে
মালা
ঘরে
দাসিরা
বাটবে
চন্দন
।
তুমি
বলবে,
ঘুমবো
।
অমনি
গাছে
গাছে
পাখোয়াজ
তানপুরা,
অমনি
জোৎস্নার
ভিতরে
এক
লক্ষ
নর্তকী
।
সুখের
নাগর
দোলায়
এইভাবে
অনেকদিন
।
তারপর
বুকের
ডান
পাঁজরে
গর্ত
খুঁড়ে
খুঁড়ে
রক্তের
রাঙ্গা
মাটির
পথে
সুড়ঙ্গ
কেটে
কেটে
একটা
সাপ
পায়ে
বালুচরীর
নকশা
নদীর
বুকে
ঝুঁকে-পড়া
লাল
গোধূলি
তার
চোখ
বিয়েবাড়ির
ব্যাকুল
নহবত
তার
হাসি,
দাঁতে
মুক্তোর
দানার
মত
বিষ,
পাকে
পাকে
জড়িয়ে
ধরবে
তোমাকে
যেন
বটের
শিকড়
মাটিকে
ভেদ
করে
যার
আলিঙ্গন
।
ধীরে
ধীরে
তোমার
সমস্ত
হাসির
রং
হলুদ
ধীরে
ধীরে
তোমার
সমস্ত
গয়নায়
শ্যাওলা
ধীরে
ধীরে
তোমার
মখমল
বিছানা
ফোঁটা
ফোঁটা
বৃষ্টিতে,
ফোঁটা
ফোঁটা
বৃষ্টিতে
সাদা
।
– সেই
সাপটা
বুঝি
তুমি
?
– না
।
– তবে?
– স্মৃতি
।
বাসর
ঘরে
ঢুকার
সময়
যাকে
ফেলে
এসেছিলে
পোড়া
ধুপের
পাশে
।
No comments:
Post a Comment