তারপর যে-তে যে-তে যে-তে
এক নদীর সঙ্গে দেখা।
এক নদীর সঙ্গে দেখা।
পায়ে তার ঘুঙুর বাঁধা
পরনে
উড়ু-উড়ু ঢেউয়ের
নীল ঘাগরা।
পরনে
উড়ু-উড়ু ঢেউয়ের
নীল ঘাগরা।
সে নদীর দুদিকে দুটো মুখ।
এক মুখে সে আমাকে আসছি বলে
দাঁড় করিয়ে রেখে
অন্য মুখে
ছুটতে ছুটতে চলে গেল।
এক মুখে সে আমাকে আসছি বলে
দাঁড় করিয়ে রেখে
অন্য মুখে
ছুটতে ছুটতে চলে গেল।
তার কথা শুনে
হাতের মুঠোটা খুললাম।
কাল রাত্রের বাসি ফুলগুলো
সত্যিই শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে।
হাতের মুঠোটা খুললাম।
কাল রাত্রের বাসি ফুলগুলো
সত্যিই শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে।
গল্পটার কোনো মাথামুণ্ডু নেই বলে
বুড়োধাড়ীদের একেবারেই
ভালো লাগল না।
আর তাছাড়া
গল্পটা বানানো।
পাছে তারা উঠে যায়
তাই তাড়াতাড়ি
ভয়ে ভয়ে আবার আরম্ভ করলাম:
বুড়োধাড়ীদের একেবারেই
ভালো লাগল না।
আর তাছাড়া
গল্পটা বানানো।
পাছে তারা উঠে যায়
তাই তাড়াতাড়ি
ভয়ে ভয়ে আবার আরম্ভ করলাম:
‘তারপর যে-তে যে-তে যে-তে…
দেখি বনের মধ্যে
আলো-জ্বালা প্রকাণ্ড এক শহর।
সেখানে খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি।
আর সিঁড়িগুলো সব
যেন স্বর্গে উঠে গেছে।
দেখি বনের মধ্যে
আলো-জ্বালা প্রকাণ্ড এক শহর।
সেখানে খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি।
আর সিঁড়িগুলো সব
যেন স্বর্গে উঠে গেছে।
তারই একটাতে
দেখি চুল এলো করে বসে আছে
এক পরমাসুন্দরী রাজকন্যা।’…
দেখি চুল এলো করে বসে আছে
এক পরমাসুন্দরী রাজকন্যা।’…
লোকগুলোর চোখ চকচক করে উঠল।
শুনে সে বলল:
‘এতদিন তোমার জন্যেই
আমি হাঁ করে বসে আছি।’
বুড়োধাড়ীরা আগ্রহে উঠে ব’সে
জিগ্যেস করল: ‘তারপর?’
‘এতদিন তোমার জন্যেই
আমি হাঁ করে বসে আছি।’
বুড়োধাড়ীরা আগ্রহে উঠে ব’সে
জিগ্যেস করল: ‘তারপর?’
‘তারপর ? কী বলব-
সেই রাক্ষুসীই আমাকে খেলো।’
সেই রাক্ষুসীই আমাকে খেলো।’