এ কী
জোনাকি!
তুই কখন
এলি বল তো!
একলা
এই বাদলায়
কেন কলকা-
তায় এলি তুই?
[এই সারারাত জ্বলা চিরদ্বীপমালা
দেয়ালি-আলোয়!]
তোর সঙ্গী
সব পাড়াগাঁর
পথে সারা-রাত
ঘন অন্ধ
কারে জ্বলছে।
কোন সরকার দর-
কারে তার
এই শহরে
তোকে সফরে
আজ পাঠালো।
[এই চাঁদ-তারা-ঝরা ছায়া-ছেঁড়া
চির-দেয়ালি-আলোয়!]
এ যে কলকা-
তার পথঘাট,
নেই খাঁ-খাঁ মাঠ
নেই ঝোপঝাড়
নেই জঙ্গল,
তুই ফিরে যা
তোর পাড়াগাঁর
পচা পুকুরের
পাড়ে থমথমে
কালো রাত্তিরে
কর ঝলমল-
[জ্বল চঞ্চল ত্বরা তারা-ভরা
কালো আকাশ-তলে।]
এই কলকা-
তায় রাত নেই,
নেই চুপচাপ,
তারা তাড়ানোর
ঘুম কাড়ানোর
ভরা সারারাত।
তুই এ-ঘরে
কোন বিঘোরে
এলি দেয়ালে
ছাদে জানালায়
খাটে আলনায়
ঘুরে মরতে!
[এই আসবাব-ঠাসা হাশফাঁশ-করা
গুমোট ঘরে!]
আমি একলা
এই বাদলায়
শুয়ে দেখছি
তোর ঝিকমিক
জ্বলে মশারির
কোণে চিকচিক,
ঘুম আসে না।
ভাবি, ঘুটঘুট
ঘোর রাত্তিরে
তোর সঙ্গীরা
তোকে ডাকছে,
তুই ফিরে যা-
[তোরা মাঠ ভ’রে ফোটা
সবুজ তারার দেয়ালি জ্বালা।]
যা ফিরে যা
তোর পাড়াগাঁয়-
না, না, একটু
দাঁড়া, দেখে নি’-
এই কলকা-
তায় বল তো
তুই কী দেখলি?
[শুধু সারারাত ভরা ঘুমহারা
চিরদেয়ালি জ্বালা।]
তবু এটুকুই
লাভ, এলি তুই
এই রাত্তিরে
ঘরে মিটমিট,
সারা শহরে
আমি একলা
তোকে দেখলুম
কত কাল পরে
ওরে জোনাকি!
[তুই ফুটলি ক্ষণিক
তারা হ’য়ে
এই গুমোট ঘরে!]