শেষ ঘোড়া ।। অমিতাভ দাশ গুপ্ত



 

তুমি সেই শেষ ঘোড়া
যার উপর আমার সর্বস্ব বাজি ধরেছি।

একত্রিশ বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে
আমার স্পেকুলেশন।
তোমার ডাইনে সুইট ফায়ার,
বাঁয়ে ব্লিডিং হার্ট,
এক কদম পিছনে প্রিন্স কাজু;
নেক্-টু-নেক্ ফুলমালা
আমার একত্রিশ বছরের সুখদুঃখ
একত্রিশ বছরের চাপা ব্যর্থতাকে অধীর করে তুমি ছুটছো।

হোয়াইট স্ট্যান্ডে বায়নোকুলার ভেঙে লাফিয়ে উঠি।
কনুইয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় জগৎসংসার।
তোমার পাঁজরের পিস্‌টনে আমার হাঁফসে ওঠা বুক
তোমার ছুটন্ত ধমনীতে আমার টালমাটাল রক্ত,
তোমার প্রতিটি গ্যালপে আমার বাদামী উরুর জলোচ্ছ্বাস
তোমার অসহ তারুণ্য খানিকটা খিমচে নিয়েছে আমার বয়স।

ভরাডুবির সময় তুমি লাল বয়া,
থৈ থৈ জলের উপর পেট্রলের আগুন-জ্বালা হারেম-সুন্দরী,
মরীয়াপনার ল্যাসো দিয়ে
চম্বলের জঙ্গল থেকে বেঁধে আনা বেওয়াকুফ, বাত্তামিজ ঘোড়া,
কদমের চকমকিতে ফুটছে লাল নীল ফুল,
ডাইনে হেলো না বাঁয়ে ঝুঁকো না
ট্রাক সামাল রাখো।

পথ ভুল হলেই
ফেন্সের ওপর রাইফেল উঁচিয়ে আছে
তোমার মরণ,
পথ ভুল হলেই
আস্তিনে লুকানো বক্র ছুরিতে
ওঁৎ পেতে আছে তোমার মরণ,
কাঙাল হয়ে দাবি জানাই,
সম্রাট হয়ে পদাঘাত করি
উইন চাই, উইন।

তোমার ডাইনে সুইট ফায়ার,
বাঁয়ে ব্লিডিং হার্ট,
এক কদম পিছনে প্রিন্স কাজু;
নেক্-টু-নেক্ ফুলমালা
মনে রেখ,
তুমি সেই শেষ ঘোড়া
যার উপর আমার সর্বস্ব বাজি ধরেছি।
_